রক্ত গোলাপ (বাংলা কবিতা)

জীবনের প্রথম প্রণয়
সেই রক্ত গোলাপ,
শুকিয়ে অশোভন হয়ে অছে।
রক্তশুন্য গোলাপ ফুলদানিতে শোভা পাই না
ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়,
ডাষ্টবিনে অথবা কোন পচা নর্দমায়
ফুলের সুবাসটুক হারিয়ে যায়
নোংরা পচা সেই দুর্গন্ধে।
পাপড়িগুলো তখন গন্ধ হারিয়ে
দুর্গন্ধ হয়ে উঠে,
যাকে ফিরে দেখার কোন প্রশ্নাই আসেনা।
মানবীর কোমল হাতের ছোয়া
যেখনে এখনও লেগে আছে
সে আজ অর্ধপচা নোংরা আবর্জনায়।

এ কি ফুলের ব্যর্থতা?
মানবীর খামখেয়ালী?
প্রকৃতির অমোঘ নিয়ম?
না কি কঠিন বাস্তব?
ফুল শুকালেও সে তো ফুলই,
তার সৌন্দর্য হারালেও
গন্ধ বিলিন হয় না।
কেন তাকে ওষ্ঠ স্পর্শের পরেও
ছুড়ে ফেলে দেওয়া হয়?
এই খামখেয়ালী, অমোঘ নিয়ম
কোন ফুল ভাঙ্গতে পারে না –
তবুও ফুল ফুটবেই
কোন মানবী যদি একটি বারের জন্যও
ভুজান্তরে টেনে নেই,
গ্রহণ করে তার সুবাস
চুম্বন করে তার কোন পাপড়িতে।
‘সেই মানবীর তরে
আমার এই রক্তিম গোলাপ॥’

(২১ মাঘ ১৪০৫/কালিশংকর পুর)

One Comment on "রক্ত গোলাপ (বাংলা কবিতা)"

মন্তব্য করুন

×
কপিরাইট © ২০০৬-২০২৪ সমকাল দর্পণ. সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত।
সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েল টেকনোলজিস